সফটওয়্যার পাইরেসি কি | সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের উপায়
সফটওয়্যার পাইরেসি কি
সফটওয়্যার পাইরেসি কি |
সফটওয়্যার পাইরেসি কি
সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোন সফটওয়্যার কপি করা,বিতরণ করা,আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে বুঝায়। অন্যের জিনিস চুরি করার মতো সফটওয়্যার পাইরেসি করাও একটি অপরাধ।
বাংলাদেশে সফটওয়্যার পাইরেসি কি
ব্যাপক অর্থে, সফটওয়্যার পাইরেসি হল মালিকানা বা আইনি অধিকার ছাড়া সফটওয়্যার বেআইনি ভাবে ব্যবহার, অনুলিপি বা বিতরণের কাজ বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত একটি শব্দ। বেশিরভাগ সফ্টওয়্যার আজ একক-ব্যবহারকারী লাইসেন্স হিসাবে ক্রয় করা হয়, যার অর্থ হল যে শুধুমাত্র একটি কম্পিউটারে সেই সফ্টওয়্যারটি একবারে ইনস্টল করা যেতে পারে।
সেই সফটওয়্যারটিকে একাধিক কম্পিউটারে অনুলিপি করা বা একাধিক লাইসেন্স ছাড়াই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করাকে সফটওয়্যার পাইরেসি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা বেআইনি। উপরন্তু, ইন্টারনেট থেকে পাইরেটেড সফটওয়্যার ডাউনলোড করা আপনার কম্পিউটারের জন্য একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি হতে পারে; আর কি কি ইনস্টল করা হতে পারে তা জানা কঠিন হতে পারে।
আপাত দৃষ্টিতে এটির ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করা যায় না।কিন্তু বিজনেস সফটওয়্যার এলিয়েন্স কতৃর্কএক সমীক্ষায় দেখা গেছে শুধুমাএ ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপি সফটওয়্যার পাইরেসি ৪১% বৃদ্ধি পায় এবং এতে করে ৫০.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।
কোন সফটওয়্যার বিনা অনুমতিতে কপি করাকে কি বলে
সফটওয়্যার পাইরেসির কারণে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।একটি সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য সফটওয়্যার তৈরিকারি প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রোগ্রামার ও ডেভেলপারকে যথেষ্ট পরিমাণ সময়,অর্থ,শ্রম ব্যয় করতে হয়।
সফটওয়্যার পাইরেসির জন্য প্রোগ্রামর বা ডেভেলপারের যে আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ার কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।ফলে ভালমানের সফটওয়্যার তৈরি হয়না এবং ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অন্যান্যরাও আইন বিরুদ্ধ কাজে নিযুক্ত হয়।এ কারণে সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধ করা প্রয়োজন।
সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধ
সফটওয়্যার পাইরেসির কারণে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।একটি সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য সফটওয়্যার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান বা তাদের প্রোগ্রামার ও ডেভেলপারকে যথেষ্ট পরিমাণ সময়,অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হয়।
সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের উপায়
সফটওয়্যার পাইরেসির জন্য প্রোগ্রামর বা ডেভেলপারের যে আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ার কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।ফলে ভালমানের সফটওয়্যার তৈরি হয়না এবং ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অন্যান্যরাও আইন বিরুদ্ধ কাজে নিযুক্ত হয়।এ কারণে সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধ করা প্রয়োজন।সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।যথা-
- সচেতনতা বৃদ্ধি (Awarness):পাইরেসি মানে অন্যের জিনিস চুরি করার সামিল।পাইরেসি সম্পর্কে আমাদের দেশের অনেকের সুস্পষ্ট ধারনা নেই।তাই পাইরেসি কি এবং পাইরেসির ফলে কি কি কুফল হতে পারে সে সর্ম্পকে সবাইকে বুঝানো যাতে তারা পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার থেকে বিরত থাকে।
- কপি প্রটেক্টের করা(Copy protection):সফটওয়্যার তৈরি কারী প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরিকৃত সফটওয়্যার যাতে কপি করতে না পারে সেজন্য প্রটেক্ট করে দিতে পারে।এন্টি পাইরেসি সফটওয়্যার ব্যবহার,রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি,হার্ডওয়্যার লক কী ইত্যাদো বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে পাইরেসি প্রতিরোধ করা যায়।
- গোপনীয়তা(Privacy):সফটওয়্যার তৈরির সময় গোপনীয়তা অবলম্বন করা উচিত যাতে অন্য কেউ প্রোগ্রামের সম্পূর্ণ কোড বা অংশবিশেষ কপি করতে না পারে।
- সফটওয়্যার অথেনটিক্যাশন এবং এক্টিভেশন(Software authentication and activation):ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার অথেনটিক্যাশন এবং এক্টিভেশন থাকলে ব্যবহারকারীর সফটওয়্যারটি অরজিনাল অর্থাৎ ক্রয় করা কিনা তা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারে।
- রিপোর্ট করা(Reporting):কেউ পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে যথাশীঘ্র সম্ভব সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে জানান যে তার তৈরিকৃত সফটওয়্যার বিনা অনুমতিতে ব্যবহার হচ্ছে এটি সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
- আইনগত ব্যবস্থা(Legal action):অন্যান্য বিষয়ের মতো মেধাসবত্ত্ব অধিকার রক্ষার জন্য কপিরাইট বা আইপিআর (ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইট)ল বাস্তবায়ন করে সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রসাশনের সহায়তায় অভিযান।
Very nice information about software piracy